কক্সবাজারের বাণিজ্যিক এলাকা ঈদগাওর গ্রাহকের কয়েক কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছে ইসলামের নাম ভাঙ্গিয়ে শরিয়াত মোতাবেক পরিচালিত কথিত এহসান সোসাইটি এখন লাপাত্তা। বাস স্টেশনে অবস্থিত হায় হায় কোম্পানীর এ অফিসটি দীর্ঘ গত ৩ মাস ধরে তালা ঝুলছে। এদিকে রিয়েল এস্টেট ব্যবসার নামে অফিসের দায়িত্বশীল কয়েকজন কর্মকর্তারা প্রায় ৬’শ গ্রাহকের নেয়া কয়েক কোটি টাকা নিয়ে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ী জমিয়েছে। অথচ এহেছান সোসাইটির অফিসের কর্মকর্তারা শরিয়াতের দোহাই দিয়ে ন¤্র-ভদ্র কথা বলে ঈদগাঁওবাসীকে দিয়েছে। এতে করে ৬শ পরিবারে চলছে ঝগড়া আর ঝগড়া। এমনকি গ্রাহকের মধ্যে তেতুলতলির হালিমা, গর্জনতলির আনোয়ারা, ভোমরিয়াঘোনার হাছিনা ও আয়েশাসহ ২০/২৫ জনের সংসারে চলছে অশান্তির আগুন। এদিকে লাপাত্তা হয়ে যাওয়া এহেছান সোসাইটির অন্যতম দায়িত্বশীল বজলকে আসামী করে ভাদিতলা এলাকার ফরহাদের স্ত্রী আয়েশা আক্তারসহ ৬৯ জন মহিলা বাদী হয়ে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। ঐ অভিযোগে দায়িত্বশীলদের মধ্যে নেজাম, কফিলসহ অনেকের নাম উঠে এসেছে। অপরদিকে মাঠ কর্মীর কাজ করা ২০জন পুরুষ-মহিলাও আত্মগোপনে রয়েছে। হায় হায় কোম্পানীর ইতিপূর্বেও ঈদগাঁওর লোকজনের কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে অবশেষে বিষয়টি আদালতের মাধ্যমে সূরাহা হয়েছে। ঐ কোম্পানীর কবিরাজ নুরুল আলম নামের এক গ্রাহক জানান, তার কাছে ইসলামপুর নতুন অফিসের মৌলভী নেজাম নামের এক ব্যক্তি শরিয়াত সম্মত সঞ্চয়ের কথা বলে প্রায় লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ঐ নেজাম মৌলভীই গ্রাহকদের কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে স্থানীয় ফকির হাট বাজারে একটি রড-সিমেন্টের দোকান দিলেও কৌশলে তাও বন্ধ করে দিয়ে অজানার উদ্দেশ্যে চলে যায়। গ্রাহক ও ঈদগাঁওবাসীর দাবী, নেজাম মৌলভী, বজল ও কফিলকে আটক করলে গ্রাহকদের কোটি টাকা ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই দ্রুত গতিতে এসব অপকর্মকারীকে গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন পুরো ঈদগাঁওবাসী।
পাঠকের মতামত: